ইস্তেহার
-অমল দাস
শব্দগুলো শিশুসুলভ ছুটতে থাকে ইচ্ছে মতন
গোলাপের ঘায়ে পথের মোড়ে হোঁচট খায়
ভিজে আঁচলে লেপটে থেকে হিঁচড়ে চলে
নত চোখ- অতি বে-নামীর কবর দেয়।
মৃত কোষ ধুলো হয়ে পা জড়িয়ে ধরে,
পৌঁছে যায় সেই ভালোবাসার আঙিনায়।
সেথা ঝাঁটার আদর গৃহ থেকে বাইরে ফেলে..
চৈত্র-বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ দিনের রৌদ্র ’গায়।
আষাঢ়ে বর্ষা এসে ধুয়ে দেয়, মলিন উঠোন।
ইতিহাস সব জমা হয় কোনো পলিস্তরে..
এই পলিতে কমল ফোটেনি কোনো কালেই,
ঘূর্ণি ঝড়ের সে ঘর বেঁধেছিল ইস্তেহারে।
শ্বসন পথে সব ধূলিকণা আটকানো যায়?
ফুসফুসেতে নিমোনিয়ার চর হবে সাড়…
তারার নদে রোজ ডুবে যায় মৃত তারা
ছেঁড়ে যাওয়া আলোও যে হয় শেষ উপহার!